এসইও জগৎ এ আছেন কিন্তু ব্লাক হ্যাট এসইও , হোয়াইট হ্যাট এসইও , গ্রে হ্যাট এসইও এই শব্দগুলির সাথে পরিচিত না এই রকম মানুষ খুব কম পাওয়া যাবে , যা ই হোক তাও আমি সংক্ষিপ্ত ভাবে গ্রে হ্যাট এসইও কি তা বুজিয়ে দিচ্ছি ।
আমি সব সময় ই বলি , নেইল পাটেল এর SEO করার কৌশল এবং ব্রেইন ডিন এর SEO করার কৌশল এক নয় । হয়তো মূল স্তম্ভ সবার একই । অনেকেই বলে White Hat SEO বলতে কিছু নেই , সব ই মিডিয়ার সৃস্টি 🙂 । যা ই হোক ঐ আলোচনায় না যাই ।
এক নজরে বিস্তারিত
- 1 গ্রে হ্যাট এসইও কী ?
- 2 গ্রে হ্যাট এসইও এর ১০ টি কৌশল
- 3 ১) মেয়াদ উত্তির্ণ ডোমেইন থেকে ব্যাকলিংক
- 4 ২) নিয়মিত সাইট আপডেট না করেও গুগলকে দেখানো সাইট আপডেট হয়েছে
- 5 ৩) সোশ্যাল বুকমার্কিং এর মাধ্যমে রেংকিং বুস্ট করা
- 6 ৪) সোশ্যাল মিডিয়া সিগনাল হ্যাক
- 7 ৫) ব্রিজ পেজ দিয়ে টারগেটেড পেজকে রেংক করানো
- 8 ৬) ব্রোকেন পেজ থেকে কৌশলে ব্যাকলিংক নিয়ে রেংকিং বুস্ট করা
- 9 ৭) নিজের সাইটে নিজে মন্তব্য করা
- 10 ৮) দাতব্য প্রতিষ্ঠানে কিছু টাকা দান করে ব্যাকলিংক নেওয়া
- 11 ৯) প্রশ্নউত্তর সাইট থেকে নিজের ব্যাকলিংক নিজে নেওয়া
- 12 ১০) কনটেন্ট পজিশন হ্যাক করা
- 13 শেষ কথা
গ্রে হ্যাট এসইও কী ?
হোয়াইট হ্যাট এসইও কৌশল এবং ব্লাক হ্যাট এসইও কৌশল এর সমন্বয়ে গঠিত হয় গ্রে হ্যাট এসইও কৌশল । সাধারনত , হোয়াইট হ্যাট এসইও কৌশলকে একটি সর্বোচ্চ মাত্র পর্যন্ত ব্যবহার করে গ্রে হ্যাট এসইও করা হয় , যে টি আসলে সম্পূর্ন হোয়াইট হ্যাট এসইও এর মধ্যে পড়ে না আবার সম্পূর্ন ব্লাক হ্যাট এসইও এর মধ্যেও পড়ে না ।
উদাহরন হিসেবে বলা যায়, আমরা জানি , আর্টিকেল এর মধ্যে একটি নির্দিষ্ট মাত্রায় কিওয়ার্ড ব্যবহার করে আর্টিকেলকে অপটিমাইজ করা হয় । আবার আমরা এটাও জানি “কিওয়ার্ড স্টাফিং” করা গুগল পছন্দ করে না , তা ব্লাক হ্যাট এসইও এর মধ্যে পড়ে । গ্রে হ্যাট এসইও করতে হলে আপনাকে সর্বোচ্চ ততগুলি কিওয়ার্ড ব্যবহার করতে হবে যতগুলি কিওয়ার্ড ব্যবহার করলে আপনি ব্লাক হ্যাট এর মধ্যে পড়বেন না 🙂 ।
গ্রে হ্যাট এসইও এর ১০ টি কৌশল
আজকে আমি ১০ টি কোশল দেখাবো যেগুলো কিছু মানুষ মনে করে ব্লাক হ্যাট আবার কিছু মানূষ মনে করে গ্রে হ্যাট । অনেকে তো সাদা এসইও মনে করে দিব্যি চালিয়ে যাচ্ছে 🙂 🙂 । চলুন শুরু করা যাকঃ
১) মেয়াদ উত্তির্ণ ডোমেইন থেকে ব্যাকলিংক
এই পদ্ধতিটি অনেক বড় বড় এক্সপার্ট ই ব্যবহার করে থাকে । পুরাতন অথবা মেয়াদ উত্তির্ণ ডোমেইন খোজার জন্য অনেক টুলস আছে , একটু গুগলিং করলেই পেয়ে যাবেন । আপনার নিশ সম্পর্কিত একটি-দুইটি-তিনটি পুরাতন অথবা মেয়াদ উত্তির্ণ ডোমেইন নিন যেগুলোর ভাল ট্রাস্ট স্কোর এবং ভাল ব্যাকলিংক প্রোফাইল আছে । তারপর সেই ডোমেইন দিয়ে একটি সাইট বানিয়ে আপনার মানি সাইট এর জন্য ব্যাকলিংক নিন হোমপেজ থেকে । অথবা কস্ট কমানোর জন্য পুরো সাইটটিকে ই ৩০১ রিডাইরেক্ট করে দিতে পারেন ।
বিঃদ্রঃ যদি ইররিলেভেন্ট ডোমেইন এই টেকনিক এপলাই করেন তাহলে এইটা পিউর ব্লাক হ্যাট হয়ে যাবে ।
২) নিয়মিত সাইট আপডেট না করেও গুগলকে দেখানো সাইট আপডেট হয়েছে
অনেকেই ভাবছেন নিয়মিত সাইট আপডেট ও কি গ্রে হ্যাট এসইও এর মধ্যে পড়ে । আসলে তা না । এখানে একটা ট্রিক আছে , সেইটা হচ্ছে গুগল নিয়মিত সাইট আপডেট কে খুব পছন্দ করে । কিন্তু দেখা যায় অনেক সময় নিয়মিত সাইট আপডেট আমাদের পক্ষে করা সম্ভব হয় না । তাই যদি আপনি আপনার পোস্ট এর এডিট এ ডুকে আপডেট এ ক্লিক করে চলে আসেন তাহলেও গুগল সেইটাকে আপডেট হয়েছে ধরে নিবে । কিন্তু এই টেকনিক টা এপলাই এর জন্য আপনার সাইটে অবশ্যয় আপডেট হওয়ার তারিখটা কোডিং এ থাকতে হবে । এবং সেই তারিখটা আপনি পোস্টিং তারিখ হিসেবে আর্টিকেল এর মধ্যে দেখাতে হবে ।
বিঃদ্রঃ কোডিং এ যদি আপডেট হওয়ার তারিখটা না থাকে তাহলে এই পদ্ধতি কাজ করবে না ।
৩) সোশ্যাল বুকমার্কিং এর মাধ্যমে রেংকিং বুস্ট করা
২-৪ টা সোসাইল বুকমার্ক করা White Hat SEO এর মধ্যে পড়লেও যদি এইটা পর্যাপ্ত পরিমানে করেন তাহলে সেইটা Gray Hat SEO এর মধ্যে চলে যায় । একটি পোস্ট আপনি ইচ্ছা করলে ৫০ টা সোসাইল বুকমার্ক সাইটেও বুকমার্ক করতে পারবেন , তাতে রেংকও বুস্ট হবে । কিন্তু দিন শেষে হয়তো এই টার জন্যই আপনাকে রেংকিং হারাতে হবে কারন এইটা গ্রে হ্যাট এসইও এর মধ্যে পড়ে ।
৪) সোশ্যাল মিডিয়া সিগনাল হ্যাক
এই টিপস টি আমাদের সবার পরিচিত “Shohab Hossain Sykot” ভাই শেয়ার করেছিলো , আমি আবার এখানে ইনক্লোড করে দিলাম, যদি আপনার ২০০-৩০০ গুগল অ্যাকাউন্ট থাকে তাহলে এই কোশল প্রয়োগ করতে পারেন । এই পদ্ধতির জন্য আপনার সাইতে সোশাল শেয়ার বাটন লাগানো থাকতে হবে ।
মনে করেন আপনার সাইট www.bikemag.com , এখান থেকে ২০-৩০ টা পোষ্ট সিলেক্ট করেন এক্সেল ফাইলে পোষ্ট এর টাইটেল সহ সেভ করেন। এখন সপ্তাহের ৭ দিন একটা সিডিউল করে নেন প্রতিদিন ২-৩ টা পোষ্ট।
এখন VPN দিয়ে USA এর IP সেট করে প্রতিদিন ২-৩ টা পোষ্ট এর টাইটেল দিয়ে গুগলে সার্চ করবেন। দেখবেন আপনার পোষ্ট ২ অথবা ৩ অথবা ৪ নং পেজে আছে, সেখান থেকে ঐ লিঙ্ক এ ভিজিট করবেন। ঐ পোষ্ট এ অবশ্যই ২-৩ মিনিট সময় দেবেন, সাথে অন্য লিঙ্ক গুলাতেও ভিজিট করবেন। টোটাল ৪-৫ মিনিট সময় দেবেন। শেষে যেই পোষ্টে ঢুকেছিলেন গুগল সার্চ থেকে ঐ পোষ্টটা সোশাল শেয়ার প্লাগিন এর মাধ্যমে G+ এ শেয়ার দিবেন, শেয়ারের সময় অবশ্যই কিছু কথা লিখে দিবেন।, পারলে কিছু হ্যাশট্যাগ ইউজ করবেন। ১ টা IP দিয়ে ১ টা লিঙ্ক এ ১ বার ই ঢুকবেন। দিনে খুব বেশি হলে ১৫ মিনিটের কাজ।
বিঃদ্রঃ অবশ্যয় আইপি পরিবর্তন করতে হবে । প্রতিদিন ৪-৫ টার বেশী করবেন না ।
৫) ব্রিজ পেজ দিয়ে টারগেটেড পেজকে রেংক করানো
ব্রিজ পেজকে ডোরওয়ে পেজের সাথে তুলনা করা যায় । ডোরওয়ে পেজের ব্লাকহ্যাট এবং গ্রে হ্যাট দুই ভার্সন এর হয় । প্রথমে জেনে নেওয়া যাক ব্রিজ পেজ/ডোরওয়ে পেজ মানি কি ? সহজ কথা হচ্ছে আপনার একটা রুম , সেই রুমের একটা দরজা আছে যেখান দিয়ে সবাই এমনিতেই প্রবেশ করতে পারে । আপনি কি করলেন আপনার রুম এর চার পাশে চারটা জানালা দিলেন বড় করে , যাতে মানুষ ইচ্ছা করলে ঐ জানালা দিয়েও রুম এ ডুকতে পারবে 🙂 । রুমটা আপনার টারগেটেট পেজ আর জানালা গুলি হচ্ছে আপনার ক্রিয়েট করা ডোরওয় পেজ। নিচের ইমেজ টা দেখুন বুজে যাবেন ……
doorway pages
তাহলে আপনার সাইটে এটি এপলাই করবেন কীভাবে ? আপনার সাইটের মেইন কিওয়ার্ড যতগুলি LSI আছে সবগুলি LSI নিয়ে একটি একটি পেজ করেন । পেজ করার পর সেই পেজে কিছু উইনিক কনটেন্ট দিয়ে আপনার টারগেটেট পেজ এ লিঙ্ক করে দেন। অবশ্যয় ঐ পেজে সম্পূর্ন কনটেন্ট দিবেন না যাতে ভিজিটর ঐ পেজে গেলেও আপনার টারগেটেড পেজে আসতে বাধ্য হয় । যখন আপনি ডুপলিকেট কনটেন্ট দিয়ে ব্রিজ পেজ বানাবেন তখন এইটা পিউর ব্লাক হ্যাট হয়ে যাবে ।
বিঃদ্রঃ ব্রিজ পেজ খুবই রিস্কি একটি গ্রে হ্যাট টেকনিক, কিন্তু আমরা অজান্তেই এইটা এপলাই করে ফেলি । তাই খুব সতর্কতার সাথে এপলাই করা উচিত ।
৬) ব্রোকেন পেজ থেকে কৌশলে ব্যাকলিংক নিয়ে রেংকিং বুস্ট করা
আমরা মোটামুটি সবাই জানি যে ব্রোকেন লিঙ্ক বিল্ডিং করা অনেক সময় এবং পরিশ্রমের ব্যাপার । কিন্তু আজকে আমি একটি পদ্ধতি বলবো, যে পদ্ধতিতে আপনি নিজেই ব্রোকেন লিঙ্ক বানাবেন আবার নিজেই ঐ ব্রোকেন লিঙ্ক ফিক্স করে লিঙ্ক জুস পাস করবেন । খুব মজার একটি পদ্ধতি , আপনি যখন কোন পরিচিত ব্যাক্তির থেকে ব্যাকলিংক নিবেন তখন ঐ ব্যাক্তিকে অবশ্যয় একটি আর্টিকেল দিতে হয় যেই আর্টিকেল এর ভিতর থেকে আপনি একটি ব্যাকলিংক নিয়ে থাকেন । এই পদ্ধতি এপলাই করতে হলে আপনার কাজ হবে আর্টিকেল যখন পাবলিশ (গেস্ট পোস্ট অথবা ব্যাকলিংক নেওয়ার জন্য) হবে তখন আপনি আপনার ‘মানি সাইটের’ জন্য ব্যাকলিংক নিবেন না , প্রথম পর্যায়ে যেকোন একটি অথরিটি সাইটের লিঙ্ককে ব্রোকেন করে সেই লিঙ্ক এঙ্কর টেক্সট দিয়ে আর্টিকেল থেকে ব্যাকলিংক দিবেন । যখন গুগলে আর্টিকেল এবং ব্যাকলিংকটি ইনডেক্স হয়ে যাবে , অথবা কিছুদিন পর (১০-১৫ দিন) আপনি সেই ব্রোকেন লিঙ্ক ফিক্স করে আপনার মানি সাইটের লিঙ্ক বসিয়ে দিবেন । তাহলে গুগল মনে করবেন আপনি একটি ব্রোকেন লিঙ্ক থেকে লিঙ্ক বেক পেয়েছেন 🙂 ।
বিঃদ্রঃ অবশ্যয় একই আইপি তে থাকা সাইটে এই পদ্ধতি এপলাই করবেন না । যদি নিজের সাইট থেকে নিজের সাইটে ব্যাকলিংক নিতে চান এই পদ্ধতিতে তাহলে অবশ্যয় সব ধরনের নিরাপত্তা মেইনটেইন করে তারপর নিবেন ।
৭) নিজের সাইটে নিজে মন্তব্য করা
এটি আরেকটি জনপ্রিয় পদ্ধতি , অনেক বড় বড় এক্সপার্টরাও এই পদ্ধতি প্রকাশ করতে চায় না । অনেকেই জানেন গুগল রোবট মন্তব্য পড়তে পারে । যখন আপনার সাইটে গুগল রোবট এসে অনেক এংগেজমেন্ট দেখবে তখন স্বাভাবিক বিষয় গুগল ধরে নিবে আপনার লিখাটি অবশ্যয় ইউসারদের পছন্দ হয়েছে এবং উইসার এটি দ্বারা উপকৃত হচ্ছে । যা ফলে গুগল নিজেও সেই লিখাকে ধীরে ধীরে পছন্দ করতে শুরু করে, আর গুগল পছন্দ করার অর্থ …… থাক আর নাই বললাম 🙂 । কীভাবে নিজের সাইটে নিজে পন্তব্য করবেন ? এর জন্য আপনাকে অবশ্যয় আলাদা কম্পিউটার ব্যবহার করতে হবে অথবা ভিপিএনও ব্যবহার করতে পারেন । প্রথমে, ভিন্ন কোন কম্পিউটার থেকে গুগলে আপনার কিওয়ার্ড সার্চ দিয়ে আপনার সাইটে প্রবেশ করুন, তারপর নিজে একটি মন্তব্য করে আসুন , মনের রাখবেন , নাম – ইমেইল – মন্তব্য করার আইপি ইত্যাদি যেন আলাদা আলাদা হয় ।
বিঃদ্রঃ মন্তব্য অবশ্যয় ৫০-১০০ ওয়ার্ড এর মধ্যে রাখার চেস্টা করবেন , ইমেলে যাতে গ্রাভেটর এড করা থাকে । মন্তব্য গুলি একদিনে করবেন না , সময় নিয়ে ন্যাচারেলি করার চেস্টা করবেন
৮) দাতব্য প্রতিষ্ঠানে কিছু টাকা দান করে ব্যাকলিংক নেওয়া
নিশ্চয় সবাই জানেন চ্যারিটি সাইটের কথা , যাদেরকে অনলাইনেই দান করা যায় । আপনার কাছাকাছি/রিলেটেড কিছু দাতব্য প্রতিষ্ঠানের সাইট খুজোন যাদেরকে মিনিমাম ২-৫ ডলার দান করা যায় । তাদের দান করুন , দান করে তাদের নিয়ে ছোট একটা আর্টিকেল লিখে ফেলুন আপনার সাইটে তারপর তাদের মেইল করুন ধন্যবাদ হিসেবে আপনার ঐ লিঙ্ক কে তাদের সাইটে এড করে দেওয়া জন্য । তারপর আপনি আপনার ঐ পোস্ট থেকে আপনার মেইন কিওয়ার্ড দিয়ে ইন্টারনাল লিঙ্ক করে জুস পাস করে নিন 🙂 । ১০ টা লিঙ্ক নিয়েই দেখুন না কি হয় 😉
বিঃদ্রঃ যদিও পেইড লিঙ্ক ব্লাকহ্যাট এর মধ্যে পড়ে কিন্তু এটি ব্লাকহ্যাট না , এমনকি এটি দ্বারা আপনার বড় কোন ক্ষতির সম্ভাবনাও নেই । কিন্তু অবশ্যয় একসাথে বেশি নিবেন না , তাহলে লিঙ্ক স্প্যাম হয়ে যাবে ।
৯) প্রশ্নউত্তর সাইট থেকে নিজের ব্যাকলিংক নিজে নেওয়া
অনেকেই জানেন , প্রশ্নউত্তর সাইট থেকে ব্যাকলিংক নেওয়া যায় নিজের রিলেটেড নিশ এর প্রশ্নের উত্তর দিয়ে । যখন ব্যাকলিংক নেওয়া ই আপনার মূল উদ্দেশ্য হবে তাহলে এতো কস্ট করে উত্তর দেওয়ার প্রয়োজন কি ? 🙂 আসুন জেনে নেই কীভাবে প্রশ্নউত্তর সাইট থেকে নিজের ব্যাকলিংক নিজে নিবেন । প্রথমে প্রশ্নউত্তর সাইটে একটি একাউন্ট খুলে আপনি আপনার নিশ রিলেটেড একটি প্রশ্ন করুন । তারপর ১ দিন পর ভিপিএন দিয়ে আইপি চেইঞ্জ করে ঐ সাইটে আরেকটি একাউন্ট খুলে আপনার প্রশ্নের উত্তর আপনি ই দিয়ে দিন 🙂 । একটি ব্যাকলিংক পেয়ে গেলেন , সাথে সাথে অন্য কেউ এই প্রশ্নের এন্সার দেখতে আসলে সেখান থেকেও কিছু ভিজিটর পাবেন ।
বিঃদ্রঃ আইপি চেইঞ্জ করে একাউন্ট না খুললে ২ টা একাউন্ট ই ব্যান খাবেন ।
১০) কনটেন্ট পজিশন হ্যাক করা
এইটা সম্পূর্ন একটি ট্যাকনিক্যাল বিষয় । সাধারনত দেখা যায়, ভিজিটর যখন প্রথম এক দুই লাইন পরেই তার কাক্ষিত তথ্যের জন্য স্ক্রোল করা শুরু করে দেয় , আবার অনেকে প্রথম প্যারা পরেই ট্যাপ ক্লোজ করে দেয় । এর থেকে বাচার জন্য আমরা অনেকেই ১-২ প্যারার পর ই “কল টু একশন” বাটন অথবা “কমপারিজন টেবিল” বসিয়ে দেই । কিন্তু একটু এডভান্স লেভেলের এক্সপার্টরা একই কাজ ভিন্নভাবে করে । যেহেতু আর্টিকেলের কোয়ালিটি ধরে রাখতে হলে অবশ্যয় আপনাকে প্রথমে ১-২ প্যারা দিতে হবেই । তাই অনেকে সেই ১-২ প্যারাকে সিএসএস দিয়ে সুবিধামত বাম পাশ অথবা ডান পাশে সরিয়ে দিয়ে থাকে ,যার ফলে উইসার আসলে সবার উপরে কল টু একশন” বাটনই দেখতে পায় ।
বিঃদ্রঃ আমাজন সাইটে এই পদ্ধতি কতটুকু ফলপ্রসু হবে আমি তা বলতে পারছি না ।
শেষ কথা
সবগুলোই নিজের অভিজ্ঞতা থেকে লিখা , কোন পদ্ধতি কখন, কোথায় থেকে পেয়েছি অথবা শিখেছি তা মনে নেই । এমনকি কয়েকটা পদ্ধতি আমার নিজের আবিষ্কার করা , যেহেতু এইগুলো গ্রে হ্যাট এসইও কৌশল তাই নিজ নিজ দায়িত্বে প্রয়োগ করবেন । নিজের বিবেক বুদ্ধিকে কাজে লাগিয়ে আরও মডিফাই করে প্রয়োগ করতে পারেন । কারো কোন ক্ষতি হলে কতৃপক্ষ দায়ী নয় 🙂 । আপনি জেনে রাখতে পারেন , প্রয়োগ করতে হবে ই , এই রকম কোন বাধ্যবাধকতা নেই । আর হ্যা কোথায় যাচ্ছেন ? মন্তব্য করে অবশ্যয় জানাবেন কোন টিপসটা আপনার ভাল লেগেছে , আর ভবিষ্যৎ এ কোন ধরনের টিপস পেতে চান তাও জানাবেন ।