localhost/phpmyadmin এ গিয়ে যেকোন নামে একটি ডেটাবেস তৈরী করুন এবং যেকোন নামে একটি টেবিল তৈরী করুন।কিভাবে phpMyAdmin ব্যবহার করে নতুন ডেটাবেস, টেবিল ইত্যাদি তৈরী করতে হয় তার জন্য এসকিউয়েলের প্রথম ৪/৫ টি টিউটোরিয়ালটি দেখুন।
যাইহোক প্রতিটি টেবিলে যতগুলি কলামই দেননা কেন সবগুলির সাথে পাশেই Type নামে একটি ড্রপডাউন মেনু আছে এখানে থেকে এই কলামে কোন্ ধরনের ডেটা সংরক্ষিত হবে তা ঠিক করে দিতে পারেন।এগুলিই হচ্ছে মাইসিক্যুয়েলের ডেটা টাইপ বা ধরন।এখানে ৪০ টিরও বেশি ডেটা টাইপ আছে।যেগুলি প্রায়শই লাগে সেগুলির আলোচনা নিচে করা হল।
নোট : সব টাইপগুলিতে শ্রেনীবিন্যাস করা যায়, মাইসিক্যুয়েল মুলত ৪টি বিভাগের মধ্যে সবগুলি ডেটা টাইপকে ঢুকিয়ে দিয়েছে ১. সংখ্যাত্নক (Numeric Data Type), ২. তারিখ এবং সময় (Date and Time Data Type), ৩.স্ট্রিং (String Data Type), ৪. স্পাশিয়াল (Spatial Data Type)
১. সংখ্যাত্নক (Numeric Data Type)
INT : যদি Type থেকে INT সিলেক্ট করে দেন তাহলে এখানে –2147483648
থেকে 2147483647
পর্যন্ত এর মধ্যে যেকোন সম্পূর্ন সংখ্যা প্রবেশ করাতে পারবেন।তবে যদি Attributes কলাম থেকে UNSIGNED সিলেক্ট করে তাহলে শুধু পজিটিভ সংখ্যা হবে।
TINYINT :ছোট পূর্ন সংখ্যা।চার ডিডিট পর্যন্ত নির্দিষ্ট করে দেয়া যায়। Attributes থেকে SIGNED ঠিক করলে -128 থেকে 127 আর UNSIGNED করলে 0 থেকে ২৫৫ এর মধ্যে যেকোন সংখ্যা।
BIGINT : অন্যান্য ব্যাখ্যা উপরের দুটির মতই শুধু এর সীমা হচ্ছে -9223372036854775808 থেকে 9223372036854775807 পর্যন্ত যদি SIGNED হয়।আর UNSIGNED হলে 0 থেকে 18446744073709551615 পর্যন্ত।
২. তারিখ এবং সময় (Date and Time Data Type)
DATE : ডেটা টাইপ DATE ঠিক করলে এই ফিল্ডে তারিখ সংরক্ষন করতে পারবেন YYYY-MM-DD এই ফরমেটে।তবে ‘1000-01-01’ থেকে ‘9999-12-31’ তারিখের মধ্যে।যেমন ধরুন ২০১০ এর ২৬ শে অগাস্ট তারিখটি সেভ হবে এভাবে 2010-08-26
DATETIME : এটা দিলে তারিখ এবং সময় দুটোই প্রবেশ করাতে পারবেন একসাথে।ফরমেট হবে এরকম
YYYY-MM-DD HH:MM:SS
৩. স্ট্রিং (String Data Type)
CHAR : এটি খুব ব্যবহৃত একটি ডেটা টাইপ।যেকোন শব্দ (character – যেমন a একটা ক্যারেক্টার) এখানে সংরক্ষন করতে পারবেন।এই ডেটা টাইপ নির্বাচন করলে এই ক্যারেক্টার সর্বোচ্চ কত পর্যন্ত হতে পারবে তা নির্দিষ্ট করে দিতে হয়।এই ক্যারেক্টারের দৈর্ঘ্য (ধরুন দিলেন ১৫০ ক্যারেক্টার) যত দিবেন সেই পর্যন্ত জায়গা ডান দিকে দখল করে থাকবে (যখন ডেটা প্রবেশ করাবেন) তবে ডেটা যখন তুলে দেখবেন তখন সেই জায়গা/স্পেস মুছে শুধু সংরক্ষিত ক্যারেক্টার গুলি দেখাবে।এর দৈর্ঘ্য ২৫৫ পর্যন্ত ঠিক করে দেয়া যায়।
VARCHAR : এটা সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত ডেটা টাইপ।এর দৈর্ঘ্য ৬৫,৫৩৫ পর্যন্ত ঠিক করা যায়।যাই হোক CHAR এর সাথে এই ডেটা টাইপের একটা পার্থক্য হল যদি ডেটা সেভ করার সময় ডেটা টির শেষে স্পেস থাকে এবং পরে এই ডেটা তুলে দেখতে যান তাহলে এই স্পেস সহ দেখাবে।
TEXT :মোটামুটি বড় লেখা যদি সংরক্ষন করতে চান তাহলে ডেটা টাইপ TEXT দিতে পারেন।
LONGTEXT : অনেক বড় লেখা/তথ্য যদি রাখতে হবে তাহলে এই ডেটা টাইপ ব্যবহার করুন।
বাস্তবে ওয়েব ডেভেলপারদের বেশির থেকে বেশি মাঝারি সাইজের ডেটাবেস ডিজাইন করতে হয় তাই তাদের এতটুকু পর্যন্ত শেখাই যথেষ্ট।আমাদের বেশির ভাগ কাজেই “CHAR”, “VARCHAR”, “INT”, “TEXT” আর “DATE” এই কয়টি লাগবে।অন্যান্যগুলি কদাচিৎ লাগে আর কি।
তাই সবগুলি ডেটা টাইপের বর্ননা দিলাম না, সব মিলে ৩০ টিরও বেশি ডেটা টাইপ আছে।