ক্যারিয়ার নিয়ে তো আমরা সবাই সচেতন। কিন্তু ক্যারিয়ারে সফলতার মূল মন্ত্রটি ঠিক কোথায় তা কি আমরা জানি??? যখনি আপনি নতুন কোন কর্মক্ষেত্রে প্রবেশের কথা ভাবছেন,তখন সর্বপ্রথম যে জিনিসটি মাথায় রাখতে হয় তা হলো সে কাজটি সম্পর্কে বেসিক সব খুঁটিনাটি জেনে রাখা। সে হিসেবে ইউএক্স ডিজাইনার হবার প্রথম বেসিক হচ্ছে এর টার্মিনোলোজি গুলো মাথায় রাখা। আর সেই বেসিক টার্মিনোলোজি গুলো জানাতেই আমার এই পোস্টটি। আশা করছি সবার ভালো লাগবে। চাকরীর অ্যাপ্লিকেশনগুলোতে, নেটওয়ার্ক ইভেন্ট সমূহে ক্যাজুয়ালি এই ইউএক্স টার্মিনোলোজিগুলোর বহুল ব্যবহার রয়েছে।আর আপনি যখন ইউএক্স ডিজাইন রিলেটেড কোন টেক্সট বা হেল্পফুল আর্টিকেল পড়তে যান তখন রাইটাররা আপনাকে সবজান্তা হিসেবে ধরে নিয়েই লেখালেখি করে, যে টার্ম আপনি অনলাইনের সাহায্য নিয়ে বোঝার চেষ্টা করলেও অনেক টার্মের অর্থ অস্পষ্ট থেকে যেতে পারে। সেই অস্পষ্টতা কে দূর করতেই আমরা এখানে কিছু বেসিক লিস্টেড ইউএক্স ডিজাইন টার্ম নিয়ে আলোচনা করবো।
তার আগে চলুন আমরা জানি ইউএক্স ডিজাইন কি??? ইউএক্স ডিজাইনার-UX /UI designer সম্পর্কে বলার আগে জানতে হবে ইউআই বলতে কি বোঝায়? আসুন তবে জেনে নিইঃ-
এক নজরে বিস্তারিত
- 1 ইউআই ও ইউএক্স কি
- 1.1 Affordance
- 1.2 Agile
- 1.3 A/B Testing
- 1.4 Card Sorting
- 1.5 Color Theory
- 1.6 Content Strategy
- 1.7 Empathy Maps
- 1.8 HCI ( Human Computer Interaction)
- 1.9 IA (Information Architecture)
- 1.10 Interface Designer
- 1.11 KWHL Chart
- 1.12 Lean
- 1.13 Low/High Fidelity
- 1.14 MVP (Minimum Viable Product)
- 1.15 Pain Points
- 1.16 Personas
- 1.17 POEMS
- 1.18 Prototype
- 1.19 Responsive Design
- 1.20 SiteMap
- 1.21 Scrum
- 1.22 UCD (User Centred Design)
- 1.23 UI Elements
- 1.24 User Flows
- 1.25 User Task Analysis
- 1.26 User Journeys
- 1.27 UX Assets
- 1.28 Wireframe
ইউআই ও ইউএক্স কি
চাই মোবাইল/ডেস্কটপ অ্যাপ্লিকেশন হোক, চাই হার্ডওয়্যার হোক কিংবা সফটওয়্যার,যে কোন কিছুর আউটলুক কেমন হবে তা জানতে হলে আমাদের অবশ্যই লাগবে ইউজার ইন্টারফেইস সংক্ষেপে ইউআই। (User Interface/UI)
কোন অ্যাপের প্রাথমিক চেহারাই(Primary Outlook) হচ্ছে ইউআই বা ইউজার ইন্টারফেস।
অপরদিকে ইউজার এক্সপেরিয়েন্স বা ইউএক্স বলতে বুঝায়, কোন অ্যাপ, হার্ডওয়্যার/সফটওয়্যার একজন ইউজার কত স্বাচ্ছন্দ্যে (User Friendly Way) ব্যবহার করতে পারবে তা নির্ধারণ করা।
Pic: UX Process to solve problems
ইউ এক্স বা ইউজার এক্সপেরিয়েন্স( User Experience:UX) এর অন্তর্ভুক্ত বিষয়গুলো হতে পারে নিম্নরুপঃ-
তাহলে এবার চলুন জেনে নেওয়া যাক ইউএক্স ডিজাইনের সাথে সম্পর্কযুক্ত কিছু বেসিক টার্মস নিয়েঃ-
Affordance
আমি একটি ইউএক্স ডিজাইন করলাম কিন্তু সেই ডিজাইনটি তৈরির উদ্দেশ্য কি ডিজাইনটি দেখে অনুভব করা সম্ভব! একটি সাধারন ঘটনার উল্লেখ করছি, আপনি একটি দোকানে গেলেন, কিন্তু দোকানের দরজা দেখে বুঝতে পারছেন না যে দরজাটি বাইরে থেকে টেনে খুলবেন নাকি ভিতরের দিকে ঠেলে ঢুকবেন!!! আপনার অনুভূতি তখন কেমন হবে???
নীচের ছবিটি ভালো করে লক্ষ্য করলে দেখতে পারবেন যে দরজা খোলার হ্যান্ডেলটি তার উদ্দেশ্য বোঝাতে সম্পূর্ণ রূপে ব্যর্থ হয়েছে, যার ফলে দোকানদারকে সাইন ব্যবহার করতে হয়েছে । একে আমরা Affordance এর অভাব বলতে পারি।
Agile
প্রধানত সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট এর ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হলেও টার্ম টি অন্যান্য খাতেও তার বিস্তৃতি ঘটিয়েছে। যেমনঃ- ইউএক্স ডিজাইন। Agile হচ্ছে সেট অফ প্রিন্সিপলস যার লক্ষ্য হচ্ছে প্রসেসকে সিমপ্লিফাই করা,সৃষ্টিশীল কাজে নিজেকে নিয়োজিত রাখা, প্রোডাক্ট ফিডব্যাক এর মাধ্যমে ইউজার এর অভিজ্ঞতা জানা, বিভিন্ন টিম ও ডিপার্টমেন্ট এর সাথে আন্তরিক সহযোগিতা করা ও দ্রুততার সাথে প্রোটোটাইপিং এ সহায়তা করা। Agile টেকনিকটি Waterfall টেকনিক এর সম্পূর্ণ বিপরীত যাকে ভাগ করা হয়েছে অ্যানালাইসিস, ডিজাইন, কোডিং এবং টেস্টিং এর সমন্বয়ে যা একটি সফটওয়্যার প্রোজেক্ট কে কমপ্লিট করে। প্রতিটি টিম যাদের সাথে আপনি কাজ করবেন তারা সকলেই যে Agile হবে তেমন কোন সম্ভাবনা নেই। তবে চাকরী ক্ষেত্রে নিয়োগদাতা প্রশ্ন তুলতে পারে যে আপনি কখনো Agile টিম এর সাথে কাজ করেছেন কিনা ?
A/B Testing
একে আপনি তুলনা করন বলতে পারেন অর্থাৎ এটি এমন একটি এক্সপেরিমেন্ট যেখানে আপনি কোন প্রোডাক্টের ২টি ভার্সন নিবেন। এরপর প্রোডাক্ট ২টি পাশাপাশি রাখবেন কোন দলবদ্ধ ইউজার এর জন্য এইটি পরীক্ষা করার জন্য যে কোন ভার্সনটি বেশী ইউজার ফ্রেন্ডলী হয় ও ইউজাররা পছন্দ করে। এই ধরনের টেস্ট গুলো তখনই করা হয় যখন প্রোডাক্টের একটি ডিসেন্ট মডেল প্রস্তুত হয়ে যায় যাকে প্রোটোটাইপ বলা হয়।
কখনো কখনো এই ইউজার টেস্ট MVP(MINIMUM VIABLE PRODUCT) এর উপরও চালানো হয়। A/B Testing কে Split Testing ও বলা হয়।
Card Sorting
কার্ড ও স্টীকি নোট ব্যবহার করে ডিজাইন, রি-অরগানাইজ, ও বিভিন্ন আইডিয়ার কম্পোজিশন ও ইভালুয়েসন করা যায়, লক্ষ্য হচ্ছে সবচেয়ে বেস্ট আইডিয়া সিলেক্ট করে তাকে ক্যাটাগরাইজ করা। কার্ড সর্টিং পলিসির মাধ্যমে পেজ/স্ক্রিন অর্ডার সিলেক্ট করা যায় কোন ওয়েবপেজ অথবা অ্যাপস এর জন্যে। এছাড়া ওয়েবসাইট এর জন্য ফিজিক্যাল SiteMap তৈরি করা যায়। এই টেকনিক নিজে নিজে অথবা দলবদ্ধ ভাবেও ব্যবহার করা যায়।
কার্ড সর্টিং পলিসি ব্যবহার করে চাইলে নির্ধারণ করতে পারবেন ইউজার প্রোফাইল পেজের জন্য কি আলাদা ইন্টারফেস ডিজাইন করবেন নাকি হোম মেনুর নিচেই রাখবেন।
Color Theory
রঙ, যা নান্দনিক সৌন্দর্যের পাশাপাশি মনকেও রাঙিয়ে তোলে। রঙের ব্যবহার যেমন সৌন্দর্যকে বিকশিত করে ঠিক তেমনি মনের উপরও প্রভাব ফেলে। কালার থিওরী সম্পর্কে ধারনা আপনাকে সহায়তা করবে ভাবতে কোন রঙ কোন রঙের সাথে ভালো ম্যাচ করবে বা কমপ্লিমেণ্টারি হিসেবে কাজ করবে। কিভাবে কালার কন্ট্রাস্ট কাজ করবে,কিভাবে কিছু রঙ তাদের মাধুর্য নিয়ে ইউজারদের ইমোশনাল অ্যাটাচমেণ্ট দিবে এসবই কালার থিওরীর অন্তর্ভুক্ত।
Content Strategy
এটি হচ্ছে সেরকম একটি প্রসেস যার মাধ্যমে রাইটার ও কনেণ্ট প্রোডিউসাররা একটি ভালো লেখার অর্গানিক লাইক বাড়ান,এছাড়াও কন্টেণ্ট শেয়ারিং এর মাধ্যমে লেখাটিকে আরও জনপ্রিয় করে তুলেন। Content Strategy তে অন্তর্ভুক্ত রয়েছে অডিয়েন্স এর অনুভূতি বুঝতে পারা, লেখা প্রকাশের জন্য কোন মাধ্যমটি ব্যবহৃত হবে তা নির্ধারণ করা, সময় ও বলার টোন নির্বাচন ইত্যাদি। কন্টেন্ট লেখার ক্ষেত্রে স্পষ্ট ধারনা থাকতে হয় লেখাটি আমি কার জন্য এবং কেন লিখছি।
Empathy Maps
এটি এমন একটি মেন্টাল ম্যাপ যেখানে অনেকগুলো সেকশন থাকে, যা রিপ্রেজেন্ট করে ইউজারদের মনের বিভিন্ন অংশ;কিভাবে তারা ভাবে? কিভাবে অনুভব করে?কিভাবে শুনতে পায়? কিভাবে দেখতে পায়?কিসের মাধ্যমে প্রভাবিত হয়?তাদের প্রতিদিনের কাজ কি? তাদের জীবনের লক্ষ্য কি? তাদের জীবনের ব্যথার উৎস বা Pain Point কোথায়? এসব সহজে ও দ্রুত গতিতে বুঝতে, ইউজারদের চাহিদা ও সমস্যার উপলদ্ধি ঘটাতেই Empathy Maps ব্যবহৃত হয়।
HCI ( Human Computer Interaction)
এটি এমন একটি রিসার্চ বা এডুকেশনাল সেক্টর যেখানে মানুষের দ্বারা ব্যবহৃত টেকনোলজি ও ডিজাইন নিয়ে আলোচনা করা হয়। যদিও এই বিষয়ের উৎপত্তি হয়েছিলো কম্পিউটার বিজ্ঞানের একটি শাখা হিসেবে কিন্তু এই আলোচ্য সূচিতে আরও যুক্ত হয় হিউম্যান ফ্যাক্টর ইঞ্জিনিয়ারিং এবং কগনিটিভ সাইন্স। যদিও দুটি বিজ্ঞানের সম্পূর্ণ ভিন্ন দুইটি শাখা তবু ইউএক্স প্র্যাক্টিশনাররা এইচ সি আই রিসার্চারদের কাছে থেকে অনেক কিছুই শিখতে পারবেন।
IA (Information Architecture)
Information Architecture হচ্ছে সেই আর্ট যা ইনফরমেশনগুলোকে ওয়েবসাইট, ডেটাবেজ, অ্যাপস এ সাজাতে সহায়তা করে। এখানেই সাইটম্যাপস, মেনুস, ন্যাভিগেশন, ক্যাটাগরিস তৈরি করা হয়। এই অংশটি ইউজার এক্সপেরিয়েন্স ডিজাইনাররা তাদের ইনফরমেশন ফ্লো-কে ওয়েবসাইটের মাধ্যমে ছড়িয়ে দিতে ব্যবহার করে ও নিশ্চিত করে যাতে ইউজাররা তাদের প্রয়োজনীয় তথ্য সাইটের যেখানে পাবার দরকার সেখানে সহজেই খুঁজে পায়।
Interface Designer
যখন ইউজার এক্সপেরিয়েন্স ডিজাইনারের ধ্যানধারণাই ব্যস্ত থাকে ইউজার ও তাদের অনুভূতিকে কেন্দ্র করে যে কোন অ্যাাপ অথবা সাইট নিয়ে, তখন ইন্টারফেস ডিজাইনাররা ব্যস্ত থাকেন স্পেসিফিক ডেসক্রিপশন নিয়ে যে কিভাবে ইন্ট্যারঅ্যাকশনগুলো ডিজাইনিং এলেমেন্ট নিয়ে কাজ করবে। পছন্দ করেন বাটনের জন্য নির্দিষ্ট অ্যানিমেশন অথবা ইমেজ। আগে থেকেই ভিজ্যুয়াল ইমেজের অ্যালাইনমেণ্ট ঠিক করে রাখেন ইউজার এক্সপেরিয়েন্স ডিজাইনার ভাবার অনেক আগে থেকেই। তাই, বেশির ভাগ ক্ষেত্রে অর্গানাইজেশনের গঠন ও কাজের ধরন দেখে ইউজার এক্সপেরিয়েন্স ডিজাইনার ও ইন্টারফেস ডিজাইনারকে কোন প্রোজেক্ট একত্রেই করতে দেওয়া হয়।
KWHL Chart
KWhat Do You Know? | W
what Do I Need To Find Out? |
HHow Do I Find the Info I Need? | LWhat Have I Learned? |
KNOWLEDGE | FINDINGS | PROCESS | LEARNINGS |
ইউজার এক্সপেরিয়েন্স নিয়ে রিসার্চ করার পূর্বে প্রথম পদক্ষেপটি হচ্ছে KWHL Chart । এই চার্টে রয়েছে ৪টি ক্যাটাগরী যা নিম্নরুপঃ-
K : What You Know ?
W : What You Don’t Know ?
H : How You’ll Figure
L : What You hope To learn ?
Lean
ইউ এক্স ডিজাইনের ক্ষেত্রে Lean বলতে বোঝায় যে প্রসেস ফলো করে প্রত্যেক ডিপার্টমেন্টের সাথে প্রোজেক্টের শুরু হতেই সার্বক্ষনিক যোগাযোগ রক্ষা করে চলা হয় তাকে। এছাড়াও দ্রত এমভিপি সৃষ্টি করা ইউজারদের সম্পর্কে তাৎক্ষনিক ধারনা নিয়ে ও কুইক রিসার্চের মাধ্যমে। Lean এর প্রধান উদ্দেশ্যই হচ্ছে খুবই দ্রুত প্রোডাক্টের স্যাম্পেল বাজারে ছেড়ে ইউজারদের রিয়েল এক্সপেরিয়েন্স সংগ্রহ করা এবং যত দ্রুত সম্ভব ভুল ত্রুটি খুঁজে আপডেট আনা।
Low/High Fidelity
এই টার্ম গুলো ব্যবহার করা হয় Wireframes অথবা Prototypes বুঝাতে। Low –Fidelity তে কাজ খুব সহজে ও দ্রুত করা যায় কারন এর সম্পূর্ণ ফোকাস থাকে ফাংশনালিটির উপর। High-Fidelity ভার্সনে বেশিরভাগ ভিজ্যুয়াল ডিজাইন এলিমেন্টস থাকে যা ইন্ট্যারঅ্যাকশন ও ফাংশনালিটির সাথে সাথেই ক্লায়েন্টদের সাথে বেশিরভাগ ইনফরমেশন এর মাধ্যমে কমিউনিকেট ও করে থাকে। বেশিরভাগ প্রোজেক্টই Low –Fidelity ও High-Fidelity মিক্স আপ অথবা শুধু মাত্র High-Fidelity ভার্সনে কাজ করে থাকে।
MVP (Minimum Viable Product)
অনেকেই Minimum Viable Product or MVP এর সাথে প্রোটোটাইপকে গুলিয়ে ফেলেন। Minimum Viable Product or MVP বলতে বুঝায় প্রোডাক্টের প্রাথমিক ভার্সন যাতে কিছু নির্দিষ্ট ফিচার থাকে টেস্ট পারপাস হিসেবে যা ব্যবহার করা হয় টেস্ট ইউজার বা স্টেকহোল্ডারদের দ্বারা । এর মাধ্যমে আমরা প্রোডাক্টের ডিটেইল্ড হাইপোথিসিস পাই ফলে সহজেই আপডেট আনা যায়,সম্পূর্ণ প্রোজেক্ট কে আবার রান করার দরকার পড়ে না।
Pain Points
Pain points হচ্ছে সেগুলো যা কোন প্রোডাক্টের বিপরীতে ইস্যু ও প্রব্লেমস তৈরি করে ইউজারদের অভিযোগের কারন ঘটায়। ইউএক্স টিম কে সেই ইস্যু গুলোর দ্রুত সমাধান করতে হয়।
Personas
Persona বলতে বুঝায় সেই ব্যক্তি কে যে একই গ্রুপে ইউজারদের সাথে একই ধারনা,প্রয়োজন,ইস্যু, টেকনোলজি নিয়ে একই ধরনের চাহিদা শেয়ার করে থাকে। সাধারনত একটি প্রোজেক্টে একের অধিক ও Persona ব্যবহার করা হয়,আর এই ব্যপারে পরামর্শ নেওয়া হয় ইউএক্স ইন্টারফেস টিম ও ইউএক্স ডিজাইন টিমের কাছ থেকে যে তারা কোন Persona কে কি কাজে ব্যবহার করবেন। তারা অনেক ইন্টার্ভিউ, সার্ভে ও মার্কেট রিসার্চের মাঝে দিয়ে একজন ইউজার নির্ধারণ করে যে কোম্পানির প্রোডাক্ট নিজ ইচ্ছেয় নিবে ও ব্যবহার করবে।
POEMS
( People,Objects,Environment,Mesages.Services)
Kumar & Whitney আবিষ্কৃত একটি রিসার্চ ফ্রেমওয়ার্ক হচ্ছে POEMS । আবিস্কারকদের ভাষায় POEMS হচ্ছে সেই ফ্রেমওয়ার্ক যা রিসার্চারদের ইউজারদের ইন্টারঅ্যাকশনের ভিডিও ট্যাগ করবে যা অবজারভেশনের মাধ্যমে রিসার্চাররা ৫ টি ক্যাটাগরির একটি ওয়ার্ড লিস্ট দিবে। উদাঃস্বরূপ, যদি কেউ একজন বয়স্ক মহিলাদের ই-মেইল অ্যাপ ব্যবহারের উপর সার্ভে করতে POEMS ফ্রেমওয়ার্ক ব্যবহার করে তাহলে সে যেভাবে লিখবেঃ-
People ৬০ বছর ও তদূর্ধ্ব বয়স্ক ভদ্রমহিলা
Object ই-মেইল অ্যাাপ
Environment চশমা পড়া অবস্থায়
Messages বাটন ব্যবহারে বিপত্তি [powr-survey id=4ed6cc29_1492075112625]
Services সুবিধাজনক পরিবর্তন আবশ্যক
Prototype
Prototype বলতে বুঝায় কোন অ্যাপ বা প্রোডাক্ট এর ডেমো ভার্সন যা টেস্টিং, ডিবাগিং ও প্রাইমারি ইউজার টেস্ট এর জন্য স্টেক হোল্ডার বা অন্যান্য ডিপার্টমেন্টের সামনে উপস্থাপন করা হয়। প্রোটোটাইপ সাধারনত ফুল ফাংশনাল হয় না। এতে স্ট্যান্ড-ইন-ইমেজ বা ফেক ইউজার প্রোফাইল ব্যবহার করা হয় জাস্ট চেক ইন করার জন্য যে ফিচারগুলো ঠিকভাবে কাজ করছে কি না।
Responsive Design
সাধারণত ওয়েব ডিজাইনে ব্যবহৃত হয়,কিন্তু যে কোন ওয়েব ভিত্তিক অ্যাপ এ আপনি চাইলেই Responsive Design ব্যবহার করতে পারেন যা মাল্টিপল ডিভাইসে দেখা ও ব্যবহার করা যায়। এটার বিল্ট ইন রেসপন্স ডিজাইন ইউজার এর ব্যবহার ও পরিবেশ এর উপর ভিত্তি করে স্ক্রীন সাইজ, প্ল্যাটফর্ম ও ওরিয়েণ্টেশন সেট করা হয়। Responsive Design অ্যালাউ করে ডিভাইস পরিবর্তনের ইনফরমেশন কে বিন্দুমাত্র পরিবর্তন না করে অর্থাৎ মোবাইল থেকে ডেক্সটপ থেকে ট্যাব ফাংশনালিটি ও ইনফরমেশনের পরিবর্তন, সংক্ষেপণ ও পরিবর্ধন না করে। এতে আলাদা কোন সাইট এর ও প্রয়োজন পড়ছে না,দরকার পড়ছে না আলাদা আলাদা পেজ ও স্ক্রিন এর ও।
SiteMap
এটি এমন একটি পেজ বা লিস্ট যা কোন অ্যাপ্লিকেশন বা ওয়েবপেজের ভিতরের বিন্যাস কেমন হবে, কোন পেজ এর পরে কোন পেজ আসবে তা দেখানো হয়।
Scrum
এটি এমন একটি মেথোডলজি বা প্রসেস যা সফটওয়্যার ডেভেলপমেণ্ট টিম এর প্রত্যেক সদস্যের মাঝে কাজ কেন্দ্রিক ঘনিষ্ঠতার (Working Unity) সূত্রপাত ঘটায়। কাজের শুরুতেই ওয়ার্ক লোড ও টাইমলাইন বেসিসে টিম মেম্বাররা সিদ্ধান্ত নিয়ে নেন কোন কাজটি সবার আগে করতে হবে,কোন কাজটি শেষে আর কোন কাজটি প্রাতিষ্ঠানিক লক্ষ্য পুরনে সহায়তা করবে। যদিও এটি সরাসরি কোন ইউএক্স টার্ম নয় তবে অনেক ইউএক্স ফ্রেন্ডলি বিজনেসে Scrum মেথডটি ব্যবহার করা হচ্ছে।
UCD (User Centred Design)
এটি এমন একটি সেট অফ প্রসেস যা প্রতিটি সেট অফ ডিজাইন ও ডেভেলপমেণ্ট এর জন্য এন্ড ইউজার(End User) এর উপর ফোকাস করে। প্রতিটি মুহূর্তেই প্রোডাক্টের উন্নয়নে অবিরাম টেস্টিং, রিসার্চিং ও ভেরিফাইয়িং এর মাধ্যমে প্রসেসটি কাজ করে থাকে।
UI Elements
ইউজার ইন্টারফেস এলিমেন্টস গুলো সাধারনত ভার্চুয়াল হয় যা ইন্টারফেস তৈরিতে সহায়তা করে। এগুলোর মধ্যে আছে বাটনস,সার্চ ফিল্ডস, মেসেজ বক্সেস, ড্রপ ডাউন লিস্ট ইত্যাদি। এগুলো সচরাচর Library Sets (যেখানে একই ডিজাইনার ও টিম দিয়ে বানানো ইউআই এলিমেন্টের কালেকশন জমানো রয়েছে) যদিও এলিমেন্ট অনেকাংশে ম্যাচ করতে পারে তবে এর বিপরীত ও রয়েছে কারন কিছু ডিজাইনার সম্পূর্ণ আলাদা ডিজাইন করতে ভালবাসে।
User Flows
এটা সেই Way or process যেখানে ইউজার একটি সম্পূর্ণ টাস্ক আপনার ওয়েবসাইট ও অ্যাপে সম্পূর্ণ করবে। ভিন্ন ভিন্ন ইউজার ভিন্ন ভিন্ন পাথ নিয়ে কাজ করে ,তবে প্রত্যেকের পাথ এমনভাবে ডিজাইন করতে হয় যেন তার ফ্লো নির্বিঘ্ন হয় ও লজিকাল হয়। সময়ের আগে থেকেই প্ল্যান করে রাখলে ইউএক্স ডিজাইনাররা অনুমান করতে পারে ঠিক কোথায় ইউজাররা কাজের ক্ষেত্রে বাধা পাবে,ঠিক কোথায় ইউজারদের লজিক ফেইল করবে।
User Task Analysis
একজন ইউজার কিভাবে ভিন্ন ভিন্ন টাস্ক সম্পন্ন করবে তার বিস্তারিত বিবরণ এখানে দেয়া থাকে। এটি তাদের প্রতিযোগীদের পন্য সম্পর্কে ধারনা প্রদান করে, পন্যের নতুন-পুরনো দিক সম্পর্কে সচেতন করে তোলে। এমন প্রোডাক্টের নন ভার্চুয়াল টাস্ক ও ভার্সন গুলো দেখায়। এটি করার প্রধান উদ্দেশ্য হচ্ছে পেইন পয়েন্টগুলো কোথায় রয়েছে ,প্রসেস এর কোন ধাপ সমূহ অপ্রয়োজনীয় তা মুছে ফেলা।
User Journeys
এটিকে ইউজার ফ্লো বা ইউজার অ্যানালাইসিস এর সাথে এক কাতারে ফেলা যাবে না ,এটার আরো ব্যপক বিস্তৃতি রয়েছে।এটা শুধুমাত্র প্রোডাক্ট তৈরি ও ব্যবহারের মাঝেই সীমাবদ্ধ নয়। প্রোডাক্ট ব্যবহার করে কোন টাস্ক কমপ্লিট করার মাধ্যমে অন্য একজন ইউজারের অনুভূতি কেমন তা জানাটাই এর বিশেষত্ব।
UX Assets
এটি রেফার করে সেই সকল ম্যাটেরিয়ালকে যা একটি অ্যাপ্লিকেশন বা প্রোডাক্ট বানাতে কাজে আসে, যার মাঝে রয়েছে ইমেজ, টেক্সট , ইউআই ইলেমেন্টস, গ্রাফিক্স, অডিও ফাইলস, ডেটাবেজ ইত্যাদি।
Wireframe
এটি আপনার অ্যাপ বা প্রোডাক্টের কাঠামো যেখানে কোন ছবি নেই , নেই কোন কন্টেন্ট অথবা ইন্টারঅ্যাকটিভ এলিমেন্টস ।এটি একটি ব্লুপ্রিন্ট যেখানে প্রতিটি অ্যাসেট কে লাইভ স্ক্রীনে দেখানো হয়েছে যা সহজে আপনাকে ডিজাইনের বিন্যাস বুঝাতে সহায়তা করে সময়ের বিন্দুমাত্র অপচয় ছাড়াই।