আর্টিকেলের টাইটলে দেখে হয়ত অনেকে বুঝতে পেরেছেন আবার হয়ত অনেকে বুঝতে পারেননি যে আজকে আসলে কি বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হবে। যাই হোক, সরাসরি আমি মূল পয়েন্টগুলোতে চলে যাচ্ছি।
আপনাদের মনে প্রশ্ন হতে পারে আসলে ইভেন্ট ব্লগিং কি? এটা কিভাবে করতে হয়? ইভেন্ট ব্লগিং করলে কি লাভ পাওয়া যাবে? ইভেন্ট ব্লগিং-এর পজিটিভ এবং নেগেটিভ দিকগুলো কি কি?
এক নজরে বিস্তারিত
- 1 প্রথমে আসা যাক, ইভেন্ট ব্লগিং (Event Blogging) আসলে কি?
- 2 ইভেন্ট ব্লগ করলে সুবিধা কি?
- 3 ইভেন্ট ব্লগ করলে অসুবিধা কি?
- 4 ইভেন্ট ব্লগিং করতে হলে আপনাকে কি কি বিষয়ে জানতে হবে?
- 5 এবার আসা যাক
- 6 ।
- 7 Best Events List
- 8 এফিলিয়েট নিস ব্লগ এবং ইভেন্ট বেসড ব্লগগুলোর কিওয়ার্ড
- 9 কেন আপনাকে ইভেন্ট ব্লগের ক্ষেত্রে উপরের বিষয়গুলো মাথায় রাখতে হবে
- 10 ইভেন্ট ব্লগের জন্য কিছু কিওয়ার্ড ধারনা
- 11 রুবেল এসবিএস
- 12 অন্যরকম মানুষ
- 13 List of Important Days – National & International
- 14 ইভেন্ট ব্লগিং আর কিছু কিওয়ার্ডস
- 15 ফাইনালি কেস স্টাডি
প্রথমে আসা যাক, ইভেন্ট ব্লগিং (Event Blogging) আসলে কি?
ইভেন্ট ব্লগিং হচ্ছে মূলত, কোন নির্দিষ্ট সময়ের জন্য কোন একটা বিষয় নিয়ে ব্লগিং করা। আমাদের দেশেও বেশ কয়েকটি বড় বড় ইভেন্ট হয়ে থাকে। যেমনঃ পহেলা বৈশাখ, ঈদ, পূজা, বিজয় দিবস, স্বাধীনতা দিবস এরকম বহু ধরনের ইভেন্ট হয়ে থাকে।
আপনি হয়ত লক্ষ্য করবেন, এই দিবসগুলোতে আমাদের দেশে বিশেষ করে “ফেসবুক” যোগাযোগ মাধ্যমে সবাই যার যার কভার ফটো পরিবর্তন করে । যেমনঃ স্বাধীনতা দিবসে সবাই দেশ-প্রেম মূলক ছবিগুলো তাদের ফেসবুক কভার ফটো সহ, ফেসবুক ওয়ালে পোস্ট করে। মুলত এইগুলোই হচ্ছে ইভেন্ট।
“তো, এখন সবাই কিন্তু আর এইসব ছবি নিজে বানাতে পারে না। তাই তারা গুগোল করে এবং গুগোল থেকে ছবি নিয়ে তাদের কভারে এবং ওয়ালে পোস্ট করে। এবং আপনি যদি লক্ষ্য করেন ঐ সময় তাতে অনেক ধরনের ব্লগ পাওয়া যায়, যারা বহু ইমেজ তাদের ব্লগে প্রকাশ করে এবং আমরা ইচ্ছা করলেই সেই খানে থেকে আমাদের পছন্দ মত ছবিগুলো সংগ্রহ করি। আর এইখানে থেকেই মূলত ইভেন্ট ব্লগ নিয়ে যারা কাজ করে তারা মূলত ইনকাম করে থাকে। আপনি দেখবেন প্রায় সাইটগুলোতেই কিছু এড রয়েছে। এছাড়াও দেখবেন আপনি যখন কোন কিছু ডাউনলোড করতে যাচ্ছেন, আপনার ইচ্ছা না থাকা সত্ত্বেও আপনার মোবাইল কিংবা ল্যাপটপ, কম্পিউটারে অন্য কোন সফটওয়্যার ডাউনলোড হয়ে যাচ্ছে। তো এইসব ডাউনলোড থেকে যারা ইভেন্ট ব্লগিং নিয়ে কাজ করে তারা ইনকাম করে থাকে।
“আসা করছি আপনারা ইভেন্ট ব্লগিং মূলত কি এবং ইভেন্ট ব্লগিং থেকে ব্লগারা কিভাবে ইনকাম করে তা বুঝতে পারছেন”
এখন মূল পয়েন্টগুলোতে যাওয়া আগে কিছু বিষয় বলে নেওয়া দরকার।
-
ইভেন্ট ব্লগ করলে সুবিধা কি?
-
ইভেন্ট ব্লগ করলে অসুবিধা কি?
যদিও সব সময় আমি নেগেটিভ পয়েন্টগুলো আগে তুলে ধরি তাই আজকেও অসুবিধা নিয়ে আগে কথা বলব। এবং তারপর আপনার ইচ্ছা থাকলে আপনি আগাবেন না হলে এখানেই থেমে যাবেন।
অসুবিধা সমূহঃ
১। যে-কোন সময় আপনার সাইট গুগোল থেকে পেনাল্টি খেতে পারে
২। আপনার সাইট সময়ের মধ্যে রাঙ্ক নাও করতে পারে
৩। আপনি অনেক কাজ করেও কোন টাকা ইনকাম নাও করতে পারেন
৪। আপনার সময় এবং ইনভেস্টমেন্ট সম্পূর্ণ জলে যেতে পারে ।
৫। ইনকাম শুধু মাত্র কয়েক দিনের জন্যই।
আসলে মূলত নেগেটিভ পয়েন্টগুলো একটার সাথে আরেকটা রিলেটেট। নিম্নে আর বিস্তারিত আলোচনা করা হবে।
সুবিধা সমূহঃ
১। অল্প সময়ের মধ্যেই আপনি ভাল ফলাফল পেতে পারেন
২। আপনি যদি একজন অনিয়মিত বেক্তি হন তাহলে আপনার জন্য ইভেন্টব্লগিং পারফেক্ট
৩। অল্প ইনভেস্টে আপনি ভাল ফলাফল করতে পারেন
৪। আপনার জন্য আপনি ভাল পরিমাণ ইনভেস্টের জন্য টাকা জমাতে পারেন
পজিটিভ পয়েন্টগুলোও নেগেটিভ পয়েন্টের মত একটি সাথে আরেকটি রিলেটেট। তো কন্টেন্টের মধ্যে আলোচনা করা হবে।
“আসা করছি আপনি এই পয়েন্টগুলো থেকে ইভেন্ট ব্লগিং নিয়ে পজিটিভ এবং নেগেটিভ বিষয়গুলো বুঝতে পেরেছেন।এখন যদি আপনার ইচ্ছা হয় আপনি নেগেটিভ বিষয়গুলো মেনে নিয়েই কাজ করতে চান তাহলেই শুধু মাত্র আর্টিকেলটা পুরো পড়বেন। কেননা, তাছাড়া শুধু শুধু আপনার জীবন থেকে ২০-৩০ মিনিট সময় নষ্ট করার কোন মানেই হয়না।”
ইভেন্ট ব্লগিং করতে হলে আপনাকে কি কি বিষয়ে জানতে হবে?
১। এসইওঃ আপনি যদি এই বিষয়ে অভিজ্ঞ না থাকেন, তাহলে এই পথে আসলে না আসাই ভাল। এতে আপনি আসলে কোন ফলাফলই পাবেন না। তবে আপনি মিডিয়াম লেভেলের এসইও জেনেও ইভেন্ট ব্লগিং নামতে পারেন। কিন্তু এইটার জন্য আপনার রিস্ক থাকবে ৯০%। আপনার জন্য মিডিয়াম লেভেলের এসইও জানা দরকার কেননা আপনি যদি কোথাও থেকে এসইওর বিষয়গুলো আউটসোর্স করতে চান, তাহলে আপনাকে বুঝতে হবে আপনার কনট্রাক্টর কি কাজ করেছে আপনার জন্য। তা না হলে আপনি আপনার সকল টাকা ও সময় নষ্ট করবেন।
ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা থেকে এই পয়েন্টটা বলতেছি। আপনি যদি আমার সাথে সোসিয়াল মিডিয়াতে থাকেন তাহলে হয়ত আপনি জানেন যে এবছর বাংলাদেশের একটা এসইও টিমকে হায়ার করে, আমি আমার ১ বছর এবং অনেক টাকা হারিয়েছি। “টাকার অংকটা প্রকাশ করতে পারলাম না, বেক্তিগত কিছু সমস্যার জন্য” তাই, কোন কিছু মিডিয়াম আইডিয়া না থেকে যদি কিছু কিনতে যান, তাহলে আপনি আসলেই ভুল পথেই যাবেন। তাই আমি চাইনা,আমার মত কেউ আর প্রতারণার স্বীকার হোক।
২। পিউর স্প্যামিঃ এসইওতে আপনি যখন কাজ করবেন হয়ত আপনি শুনে থাকবেন সাদা এসইও, কালা এসইও, গ্রে এসইও আর কত নাম।
প্রশ্নগুলো হচ্ছেঃ
- ইভেন্ট ব্লগিং নিয়ে আপনার অভিজ্ঞতা এবং মতামত কি ?
- আপনি কি ধরনের ফর্মুলা ফলো করেন, যখন আপনি ইভেন্ট ব্লগিং করে থাকেন? (মানে রাঙ্ক করার ক্ষেত্রে)
- ইভেন্ট ব্লগিং নিয়ে আপনার সফলতা এবং ব্যর্থতার নিয়ে যদি একটু বলতেন?
রুবেল এসবিএস
উত্তর ১. আসলে আমি মনে করি, ইভেন্ট ব্লগিং হচ্ছে সৌখিন এবং রিস্কি ব্লগিং। যদি আপনার রানিং ইনকাম থাকে এবং ২০০-৪০০ ডলার ইনভেস্ট করার সামর্থ্য আছে। অথবা আপনি স্ট্রং এসইও জানেন, কিংবা “ ব্ল্যাক হ্যাট এসইও “ করে ওই ইভেন্টের ১-২ দিনের জন্য গুগল সার্চ ইঞ্জিনে টপে থাকতে পারেন, তাহলে ভাগ্যের চাকা হটাত করেই লাল হয়ে যাবে। আবার প্ল্যান এবং কাজে ভুল হলে, সকল কস্ট এবং ইনভেস্ট বৃথা যাবে।
প্রশ্ন হচ্ছে এটা নিয়ে অভিজ্ঞতা কি ? আসলে ভাই এটা নিয়ে অভিজ্ঞতা বলতে গত ২ বছরে সব মিলিয়ে ৯ টা ইভেন্ট ব্লগ নিয়ে কাজ করেছি। সবগুলোতেই কিন্তু সফল হতে পারি নাই। ২০১৩ তে ৫ টা ব্লগে শ্রম+ ইনভেস্ট রিটার্ন আশে নাই। ২০১৪ তে এসএসসি রেজাল্টের দিন অল্প ইনভেস্টে আর বেশি পরিশ্রম দিয়ে প্রায় ৩ লাখের উপরে ট্রাফিক পেয়েছিলাম। তারপরে ২০১৪ তে শেষের দিকে বলিউডের কিং শাহরুখ খানের ১ টা মুভি তে অবিশ্বাস্য ট্রাফিক পেয়েছিলাম। ঘটনা শেষের দিকে বলতেছি, যেটা ছিল ইভেন্ট ব্লগিং এর সবচেয়ে বড় সফলতা। আর এ বছর ২০১৫ তে ইচ্ছা থাকলেও সময়ের অভাবে ২ টা ব্লগে খরচ উঠেছে ১ টা ব্লগে ইনভেস্ট এর ৬ গুন আয় করেছিলাম। তবে সামনের ডিসেম্বর মাসকে টার্গেট করে ২ টা ইভেন্ট ব্লগ রেডি করতেছি। তখন আরও নতুন কিছু অভিজ্ঞতা হবে। ১ টা ইন্ডিয়ান আর ১ টা বাংলাদেশী ইভেন্ট টপিক নিয়ে। ২ টা ইভেন্টে মোট বাজেট ১০০০+৫০০ ডলার = ১,৫০০ ডলার টোটাল ইনভেস্ট হবে।
(টোটাল টার্গেট ১৫,০০০ ডলার) এইসব বিস্তারিত বলতে গেলে কয়েকটা আর্টিকেল হয়ে যাবে।
আপাতত যেসব তিতা অভিজ্ঞতা হয়েছে, সেগুলো পরে বলতেছি।
আমার মতামত হচ্ছে, নতুনরা সাবধান !!! কারো থাকলে ১০০ ডলার ইনভেস্ট করে কোন ইভেন্টে অভিজ্ঞতা নিতে পারেন।
এই ফর্মুলাতে আমি বেশি সফল হয়েছি, অন্য কেউ সফল নাও হতে পারেন। তবে সামনে আরও বলবো।
উত্তর ৩. সফলতা বলতে আসলে তেমন কিছুই পাই নাই। ২-৩ টা ইভেন্টে ৫ লাখ+ ট্রাফিক পেয়েছি। আর বড় পাওয়া হচ্ছে ২০১৪ তে শেষের দিকে শাহরুখ খানের মুভি তে ৮-১০ দিনের ব্ল্যাক হ্যাট সাইট দিয়ে ইভেন্টের দিনে ১১ লাখ+ ট্রাফিক পেয়েছিলাম। পরবর্তী ৭ দিন মিলিয়ে ২ লাখের মতো ট্রাফিক পেয়েছিলাম। টোটাল ১৩ লাখের কাছেকাছি ট্রাফিক হয়েছিলো এক ইভেন্টে। এটাই অল্প ইনভেস্টে বড় সফলতা। কতো আয় করেছিলাম, সেটা আপনি অনুমান করে নিয়েন। (১ টা গাড়ি কেনা যাবে) পাবলিক প্লেসে স্ক্রিনশট শেয়ার করে, কিডনাব হওয়ার রিস্ক নিতে চাচ্ছি না। এটা আমার প্রাইভেসি। প্লীজ কিছু মনে করবেন না।
তবে আমি পরাজিত হয়েছি বেশি আর এটাই বাস্তব সত্যি। ৯ টা ইভেন্টে মিলিয়ে টোটাল ৩,০০০ ডলার + খরচ। মেনে নিতে অনেক কস্ট হয়েছে। আর অনেক অনেক সাইট পেনাল্টি খেয়েছি। তবে সামনে বড় টার্গেট আছে, জানি না কি হবে। কিন্তু চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। আমার লক্ষ নিয়ে আমি কাজ করে যাচ্ছি ইনশাআল্লাহ্।
অন্যরকম মানুষ
উত্তর ১। আমার মতে খুব অল্প সময়ে হিউজ ইনকাম করার একটি অসাধারণ মাধ্যম হচ্ছে ইভেন্ট ব্লগিং। আমাদের রেগুলার ব্লগের ক্ষেত্রে সব সময় র্যাঙ্ক ধরে রাখতে হয়, অন্যথায় আমাদের ট্র্যাফিক এবং ইনকাম কমে যায়। কিন্তু, ইভেন্ট ব্লগিং এর ক্ষেত্রে আপনাকে মাত্র ১/২ দিন র্যাঙ্ক থাকতে হবে, অনেক ইভেন্টের ক্ষেত্রে ৭-১০ দিনও র্যাঙ্ক ধরে রাখতে হয়। কিন্তু, এই ১/২ দিন বা ১ সপ্তাহে আপনি যদি র্যাঙ্কিং এ ১ম পেজ ধরে রাখতে পারেন, তাহলে অনায়াসে কয়েক হাজার ডলার ইঙ্কাম করতে পারবেন। ইভেন্ট ব্লগিং থেকে সবচেয়ে বড় আয়ের মাধ্যমও কিন্তু এ্যাডসেন্সই, চাইলে আপনি অন্যান্য এ্যাড নেটওয়ার্ক কিংবা এ্যাফিলিয়েশনও করতে পারেন। আর যেহেতু ইভেন্ট ব্লগিং করা হয় খুব সল্প সময়ের জন্যে আর ইভেন্টের দিন ট্র্যাফিক বেড়ে যায়, তাই আপনি এখানে ব্লগার কে ব্যবহার করতে পারেন আর খুব অল্প দামে একটা ডোমেইনও কিনে নিতে পারেন। আপনি চাইলে Promo Code এর মাধ্যমেও ১ ডলারে ডোমেইন কিনে সেটা ব্লগারে কাস্টম ডোমেইন হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন। এতে করে আপনার সার্ভার খরচও বেঁচে যাবে। আমার প্রথম ইভেন্ট ব্লগ থেকে আমি প্রায় 3,096 হাজার ডলার ইনকাম করেছিলাম। আর এর জন্যে আমাকে সময় দিতে হয়েছিল প্রায় ২ মাস।
উত্তর ২। ইভেন্ট ব্লগিং এর জন্যে আমি মুলত EMD ডোমেইন কে প্রাধান্য দেই। মানে আমার কিওয়ার্ডের সাথে মিল রেখে ডোমেইন কিনি। এবং শুরুতেই আমি মূলত আমার ব্লগটাকে হাই কুয়ালিটি কন্টেন্ট এবং রেসপনসিভ টেমপ্লেট ইউজ করি আর প্ল্যাটফর্ম হিসেবে বেছে নেই “ব্লগার” কে। কারণ, ইভেন্টের দিনে ট্র্যাফিক অত্যাধিক পরিমানে বেড়ে যায় বিধায় আপনার Hosting এর জন্যে ডেডিকেটেড সার্ভার ছাড়া বিকল্প থাকে না। তাই, ব্লগার কে বেছে নিলে Hosting সংক্রান্ত ঝামেলা থেকে বাঁচা যায়। আর আমি সাইট কে র্যাঙ্ক করানোর জন্যে কুয়ালিটি কন্টেন্টের পাশাপাশি ব্যাকলিঙ্কের প্রতি গুরুত্ব দেই বেশি। কারণ, ইভেন্ট ব্লগিং এ র্যাঙ্ক এ থাকার অন্যতম অস্ত্রই হচ্ছে যত বেশি সম্ভব ব্যাকলিঙ্ক করা। আর ব্যাকলিঙ্কের জন্য আমি Sitewide Link, Social Bookmarking, Forum Signature, Directory Submission, Comments, .edu & .gov Backlinks করি। এছাড়াও আমি সোশ্যাল সিগন্যাল এর ক্ষেত্রে বাড়তি নজর দেই। অন্তত প্রতিটা কন্টেন্টে ৫০০+ সোশ্যাল শেয়ার করার চেষ্টা করি। আর মুল কিওয়ার্ডের পাশাপাশি লং টেইল কিওয়ার্ড কে র্যাঙ্ক করার ক্ষেত্রে গুরুত্ব দেই। এতে করে আমার মুল কিওয়ার্ডও র্যাঙ্ক করা সহজ হয়। চেষ্টা করি High PR পেজ থেকে যে কোন উপায়ে ব্যাকলিঙ্ক নিতে। তবে কন্টেন্টের ক্ষেত্রে আমি কোন কম্প্রমাইজ করি না, সব সময় হাই কুয়ালিটি কন্টেন্ট দিয়েই ইভেন্ট ব্লগকে সাজাতে চেষ্টা করি।
আসলে ইভেন্ট ব্লগিং কে র্যাঙ্ক করানো নিয়ে একটা ৫০০০ হাজার শব্দের আর্টিকেল লেখা সম্ভব। এই স্বল্প সময়ে তা হয়তো বিস্তারিত ভাবে বলা সম্ভব নয়।
উত্তর ৩। ইভেন্ট ব্লগিং নিয়ে আমি গত বছরের শেষের দিকে বেশ কিছু আর্টিকেল পড়ি এবং বিশেষ করে ABT এর Imran ভাইয়ের বেশ কিছু লেখা থেকে অনুপ্রাণিত হই। আর, তখনই সিদ্ধান্ত নেই যে আমার রেগুলার ব্লগ গুলোর পাশাপাশি কিছু ইভেন্ট বেসড নিশ নিয়ে কাজ করবো। তো আমার সামনে তখন রেজাল্টের একটা ইভেন্ট ছিল। সেই হিসেবে রেজাল্ট কে নিশ হিসেবে বাছাই করে আমি আমার প্রথম ইভেন্ট ব্লগিং এর কাজ শুরু করি। ইভেন্টের ১০ দিন আগে আমি আমার প্রায় সবকটি কিওয়ার্ডে ১ নাম্বারে আসি, এমনকি আমার লং টেইল কিওয়ার্ড গুলোও ১ম পজিশনে এ চলে আসে। আর যা থেকে আমি এই ইভেন্টে সর্বমোট 3,096 ডলার ইনকাম করি ৭৩,৭৮০ টা ক্লিক থেকে এবং সর্বমোট 19,99,033 পেজভিউ পাই।
নিচে অন্যরকম মানুষ ভাইয়ের একটি ইভেন্ট ব্লগের ২ দিনের এ্যাডসেন্স ইনকামের স্কীনশট দেখুন। যা এই পোস্টের স্বার্থে ব্যবহার করা হয়েছে।
তো আমার মতে যারা রেগুলার ব্লগ করেন, তারা তাদের ব্লগ গুলোর পাশাপাশি ইভেন্ট বেসড নিশ নিয়ে কাজ করতে পারেন। এটি সত্যিই অসাধারণ এক অভিজ্ঞতা। তবে, ইভেন্ট ব্লগের কিছু নেতিবাচক দিকও আছে, তার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে হঠাৎ করেই র্যাঙ্ক হারানো। ইভেন্টের দিন আপনি র্যাঙ্কিং পজিশনে ১ নাম্বারে থাকবেন, এটা নিশ্চিত করে বলা যায় না। তাই ইভেন্ট ব্লগিং করলে আপনাকে কিছুটা ঝুঁকি নিয়েই করতে হবে। আমার ২য় ইভেন্ট ব্লগের ক্ষেত্রে এই রকমটাই হয়েছিল, ইভেন্টের আগের দিন মাঝরাতে হঠাৎ করে আমার র্যাঙ্ক পেছাতে শুরু করে। যা ইভেন্টের দিন ১ নাম্বার থেকে সরে গিয়ে ৭ম নাম্বার গিয়ে ঠেকেছে। কিন্তু, তবুও প্রায় ১২০০+ ডলারের উপরে আমি ইনকাম করতে পেরেছি। যদি ১ম অবস্থানে টিকে থাকতাম সেক্ষেত্রে এই ইভেন্ট থেকেও আনুমানিক ৩/৪ হাজার ডলার অনায়াসে ইনকাম করা যেতো। তাই, দ্বিতীয় ইভেন্টের ক্ষেত্রে আমি প্রথম ইভেন্টের তুলনায় ব্যর্থ ছিলাম। এর কারণ বের করতে গিয়ে জেটা বুঝেছি সেটা হচ্ছে আমি ফাইভার গিগের মাধ্যমে অনেক গুলো ব্যাকলিঙ্ক কিনেছিলাম, সাথে Sidewide লিঙ্ক। কিন্তু, অধিকাংশ ব্যাকলিঙ্কই Index হয়নি, যে কারণে প্রায় কয়েক’শ ব্যাকলিঙ্ক আমার কোন কাজেই আসেনি। আর Sidewide লিঙ্কের ক্ষেত্রেও সম্ভবত একই ঘটনা ঘটেছে। মোটকথা, আমি গিগ কিনে যে কাজ গুলো করেছিলাম, সেগুলো কোন কাজেই আসেনি। তাই আমার রিকমেন্ড থাকবে, গিগ কিনে ভুলেও কোন কাজ করবেন না। কারণ, এগুলো অধিকাংশ সময়ই ইন্ডেক্স হয় না কিংবা দেরীতে ইন্ডেক্স হয় বিধায় আপনার ইভেন্টের সময় এগুলো কোন কাজেই আসে না। তাই, জতটুকু সম্ভব ম্যানুয়িলি করার চেষ্টা করতে হবে। আমার তৃতীয় ইভেন্টটাও মুটামুটি সফল বলা যায়। তবে নিশ নির্বাচনে কিছু ভুল থাকার কারণে আশানুরূপ ফলাফল আসেনি। এখন আরও ২/৩ টা ইভেন্ট নিয়ে কাজ করছি। তার মধ্যে একটা অন্যতম ইভেন্ট হচ্ছে “Happy New Year 2016” । আশা করি এটাতে ভালো কিছু করতে পারবো।
আপনাদেরকে আমি একটা লিস্ট দিয়ে দিচ্ছি, আপনারা এই ইভেন্টগুলো কাজ করে ভাল ফলাফল পেতে পারবেন।
List of Important Days – National & International
January 1January 6 |
January 9 |
January 10 |
January 11 |
January 12 |
January 15 |
January 23 |
January 24 |
January 25 |
January 26 |
January 27 |
January 28 |
January 30 |
February 2 |
February 4 |
February 6 |
February 11 |
February 12 |
February 13 |
February 14 |
February 20 |
February 21 |
February 22 |
February 23 |
February 24 |
February 28 |
March 3 |
March 4 |
March 8 |
March 13 |
March 14 |
March 15 |
March 16 |
March 18 |
March 20 |
March 21 |
March 22 |
March 23 |
March 24 |
March 25 |
March 26 |
March 27 |
– |
– |
– |
December 1 |
December 2 |
December 3 |
December 4 |
December 5 |
December 7 |
December 9 |
December 10 |
December 11 |
December 14 |
December 16 |
December 18 |
December 19 |
December 20 |
December 23 |
December 25 |
এরকম প্রায় প্রতি বছর কয়েকশ ইভেন্ট হয়ে থাকে। আপাতত সময়ের অভাবে সবগুলো দিতে পারছিনা। তবে আমার কাজে টেক্সট ফাইল আছে, কারো লাগলে যোগাযোগ করতে পারেন, অথবা নিচে কমেন্ট করুক, আমি আপনাকে দিয়ে দিব। (কিন্তু একটা শর্ত আছে আপনাকে ঐ ফাইলটার জন্য এই কনটেন্টটা আপনার Social media, ফেসবুক, টুইটার এবং গুগল+ এ শেয়ার করতে হবে )
যেহেতু কিছু ইভেন্টের লিস্ট দিলাম, তাই আর বেশ কিছু কিওয়ার্ডও দিচ্ছি, যদিও কিওয়ার্ডগুলো শুধু মাত্র একটা ইভেন্টকে নিয়ে। আইডিয়াগুলোকে একটু পরিবর্তন করলেই হবে শুধু।
ইভেন্ট ব্লগিং আর কিছু কিওয়ার্ডস
happy halloween images | happy halloween (year) |
halloween pictures | halloween images |
halloween quotes | halloween jokes for kids |
halloween sayings | happy halloween funny |
halloween costume ideas | easy halloween costumes |
funny halloween costumes | happy halloween pictures |
halloween costumes 2014 | halloween 2014 |
best hallo ween costumes 2014 |
ফাইনালি কেস স্টাডি
কিন্তু এইবার কয়েকটা কেস স্টাডি শেয়ার করব একসাথে, যাতে আপনারা ভাল করে বুঝতে পারেন, যেহেতু বিষয়টা আসলেই অনেকের জন্যই একবারে নতুন…
ইভেন্টঃ happy halloween
ব্লগ লিংকঃ happyhalloweenimagess.com
www.hiphiphalloween.com
Url | Backlinks | DA/PA | |
happyhalloweenimagess.com | 421 | 22/34 | |
hiphiphalloween.com | 467 | 17/30 |
ইভেন্টঃ valentinesday
ব্লগ লিংকঃ valentinesdayimages.blogspot.in
Backlinks | 33,269 |
DA/PA | 73/38 |
Spam Score | 6/17 |
তো, আপনি যদি এইরকম আর কয়েকটি ব্লগ নিয়ে স্টাডি করেন তাহলে আশা করছি বুঝতে পারবেন।
দেখেন এদের ব্যাকলিংকগুলো। আসলে এখানে কুয়ালিটির থেকে কুয়ান্টিটিটা বেশি ফলো করে সবাই। আপনি আরেকটু স্টাডি করলেই বুঝতে পারবেন।
দেখুন ইভেন্ট ব্লগিং করে কিরকম ট্রাফিক পাওয়া যায়।। মাত্র ৫ দিনে এই ট্রাফিক। এবং দেখুন রিয়াল টাইম ট্রাফিক কত ! ২৮২৪ জন, মানে একসাথে ঐ সাইটে এত জন লোক লাইভ ছিল।
মাত্র ৫ দিনে ঐ সাইট থেকে ইনকাম ছিল ৫০০০ ডলার +
আশা করছি আপনারা ইভেন্ট ব্লগিং নিয়ে সব কিছু বুঝতে পেরেছেন। তারপরও যদি কোন প্রশ্ন থাকে তাহলে কমেন্ট করবেন, আমি চেষ্টা করব উত্তর দিতে এবং ইনশাল্লাহ পরবর্তী আর্টিকেলটা হবে “ফাইভার গাইড লাইন নিয়ে” সে পর্যন্ত ভাল থাকুন এবং সকলের জন্য দোয়া করুন।
“কনটেন্টটা আপডেট করা হতে পারে সময়ের সাথে সাথে। আর বানান ভুল হলে ক্ষমার চোখে দেখার জন্য অনুরোধ করা হল।”
প্রথম প্রকাশ এখানে